প্রবাসী জীবন ও স্ত্রীর গোপন অত্যাচার,প্রবাসী স্বামীর কষ্ট, পারিবারিক ভালোবাসা, স্ত্রীর অত্যাচার, পরিবারে দ্বন্দ্ব, প্রবাস জীবন ও সম্পর্ক, প্রবাসে স্ত্রীর পরিবর্তন, সম্পর্কের ভাঙন, প্রবাসী ছেলের দুঃখ
🟣 পারিবারিক ভালোবাসা, প্রবাসী জীবন ও স্ত্রীর গোপন অত্যাচার
🔷 ভালোবাসার এক সহজ শুরু
আমি রফিক। পশ্চিমবঙ্গের এক ছোট গ্রাম থেকে উঠে আসা এক সাধারণ ছেলে। আমাদের পরিবারটা ছিল খুবই মিলেমিশে থাকা পরিবার। মা–বাবা, দুই বোন আর আমি—এই পাঁচজনের পরিবারে ভালোবাসার কোনো কমতি ছিল না। মা ভোরে উঠে নামাজ পড়ে আমার জন্য টিফিন বানাতেন, বাবা কাজের জন্য বের হতেন, আর সন্ধ্যাবেলা আমাদের আঙিনায় বসে সবাই মিলে গল্প করতাম।
তবে সময় সবকিছুর মতো মানুষকেও বদলায়। আমি কলেজে উঠেই বুঝলাম, পরিবারকে সত্যিকারের সহায়তা করতে হলে বাইরে গিয়ে কিছু করতে হবে। তাই অনেক চেষ্টা করে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে কাজ জোগাড় করি। প্রথমবার প্রবাসে যাওয়ার সময় মা কেঁদে ফেলেছিলেন, আর বাবা মুখ লুকিয়ে কান্না করেছিলেন—আমি বুঝেছিলাম।
প্রবাসে জীবন প্রথমে খুব কঠিন ছিল। ভাষা বুঝি না, খাবারে মানিয়ে নিতে পারি না, এমনকি কাজের পরিবেশও কঠিন। কিন্তু পরিবারের মুখে হাসি আনতে হলে সব সহ্য করাই আমার কর্তব্য। প্রথম বেতনের টাকাটা মায়ের জন্য শাড়ি কিনে পাঠিয়েছিলাম। বাবার জন্য একটা ভালো ঘড়ি। বোনদের জন্য চকলেট আর ছোট ছোট উপহার। সেদিন ফোনে মা বলেছিল, “তুই যেন সুস্থ থাকিস, ব্যাস, এর চেয়ে বড় কিছু চাই না।”
🔷 বিয়ে এবং জীবনের বাঁক
চার বছর প্রবাসে থাকার পর মা-বাবা আমার জন্য পাত্রি খুঁজে দিল। গ্রামের এক নম্র, ঘরোয়া মেয়ে রুপা—চেহারায় সাদামাটা, কিন্তু ব্যবহার খুব ভদ্র। মা বলেছিল, “এই মেয়েটা সংসার বুঝবে।” আমি রাজি হলাম, ছুটিতে গিয়ে বিয়ে করলাম। FACKBOOK LOVE STORY VIDEO
বিয়ের পর রুপাকে প্রবাসে নিয়ে আসার চিন্তা করি। তবে কিছু কাগজপত্র আর স্পন্সরশিপ জটিলতায় সময় লাগছিল। মা-বাবার সঙ্গে থাকলেও আমার স্ত্রী মাঝে মাঝে ফোনে কান্নাকাটি করত। বলত, “তোমার মা আমায় কাজ করায়, ভালো কথা বলে না।” প্রথমে ভাবতাম ওর মানিয়ে নিতে সমস্যা হচ্ছে। মা-বাবার বয়স হয়েছে, কখনো রেগে গেলে কিছু বলে ফেললে ক্ষমা করে দিতে বলতাম।
কিন্তু ধীরে ধীরে রুপা একা একা থাকতে চাইত, আমার পরিবারের সঙ্গে তার দূরত্ব বাড়তে থাকল। ফোনে বলত, “তোমার মা আমার ভুল ধরে, আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত।” আমি স্ত্রীর কথাও বিশ্বাস করতাম, আবার মা-বাবার পক্ষেও মন কাঁদত। দু’পাশে দাঁড়িয়ে আমি যেন চাপে পড়ে যাচ্ছিলাম।
🔷 গোপন অত্যাচারের ছায়া
হঠাৎ একদিন ছোটবোন আমায় ভিডিও কলে কান্না করে জানাল, “দাদা, ভাবি মা–কে গালমন্দ করে, তোমার সামনেই মিষ্টি হয়।” বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। কিন্তু তারপর মা ফোনে চুপ করে কান্না করল, কিছু না বলেও যেন অনেক কিছু বলে দিল।
আমি স্ত্রীর সঙ্গে কথা বললাম, সে বলল—সব মিথ্যা। মা-বোনের ষড়যন্ত্র। আবার মা–বোন বলল, ও যেন অন্য রূপ ধারণ করেছে। একরকম দ্বন্দ্বে পড়ে গেলাম। কিন্তু একদিন হোয়াটসঅ্যাপে ছোটবোন আমায় ভিডিও পাঠাল, যেখানে রুপা আমার মাকে ধমক দিচ্ছে, অপমান করছে। ALL GAMING PLATFROM
সেই রাত আমি ঘুমাতে পারিনি। হৃদয় ভেঙে গিয়েছিল। যে মেয়ের জন্য আমি পরিবারকে বিশ্বাস করিনি, সে-ই আমার মাকে এমনভাবে কষ্ট দিচ্ছে! আমি অফিস থেকে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরে এলাম। সেই প্রথমবার রুপা আমার সামনে পড়ল, ভয় পাচ্ছিল, মুখ নিচু করে রেখেছিল।
আমি মাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেললাম। বললাম, “মা, তুই কিছু বলিসনি, কেন?” মা কাঁদতে কাঁদতে বলল, “তুই তো ওর কথা শুনতিস, তাই চুপ করেছিলাম।” তখন বুঝলাম, ভালোবাসার সাথে যদি বোঝাপড়া না থাকে, তাহলে সেটা তিক্ততায় পরিণত হয়।
🔷 পরিণতি ও নতুন এক সিদ্ধান্ত
আমি সিদ্ধান্ত নিলাম—এই সংসার আর নয়। রুপার সঙ্গে বসে কথোপকথন করলাম। ও নিজের ভুল বুঝতে পারছিল, কিন্তু আমি তখন আর ফিরতে চাইনি। মায়ের চোখের জল, বাবার নীরবতা, আর বোনের কান্না—এসব কিছু আমার হৃদয়ে কাঁটা হয়ে গেঁথে গিয়েছিল।YOUTUB LOVE STORY VIDEO
আমি ডিভোর্স ফাইল করলাম। সমাজ অনেক কথা বলল, কিন্তু আমি জানি আমার মায়ের সম্মান সবচেয়ে আগে। রুপা তার বাবার বাড়ি ফিরে গেল। আমি আবার প্রবাসে গেলাম, কিন্তু এবার মা–বাবাকে একসাথে নিয়ে এলাম। তাদের জন্য একটা আলাদা বাসা ভাড়া করলাম, যেখানে তারা স্বাধীনভাবে থাকতে পারে।
প্রবাসে থাকা অবস্থায় আমি এখন সময় বের করে মায়ের জন্য রান্না করি, বাবার ওষুধ কিনে আনি। সপ্তাহে একদিন সবাই মিলে বেড়াতে যাই। হয়তো সংসার ভাঙল, কিন্তু পরিবারকে আবার কাছে পেয়েছি। YOUTUB LOVE STORY VIDEO
এখন আমি একটি ইউটিউব চ্যানেল চালাই, যেখানে প্রবাসী জীবনের গল্প বলি, মা–বাবার সঙ্গে vlog করি। অনেক মানুষ বলেন, “ভাই, তুমি আমাদের চোখে জল এনে দাও।” তখন মনে হয়, আমার কষ্ট কোনো অর্থহীন ছিল না।
🔵 উপসংহার
ভালোবাসা তখনই সত্য হয়, যখন তা আত্মত্যাগের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। প্রবাস জীবনে অর্থ থাকলেও হৃদয়ের খালি জায়গা অনেক সময় পরিবারই পূর্ণ করে। স্ত্রীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব, পারিবারিক অবহেলা, আর গোপন অত্যাচার—সবকিছুর মধ্যেও যাঁরা সত্যকে আঁকড়ে ধরেন, তাঁরাই প্রকৃত বিজয়ী।
আপনি যদি প্রবাসী হন, আর পরিবারের সাথে দূরত্ব বেড়ে থাকে—তাহলে একবার অন্তত মায়ের চোখের দিকে তাকান। সেই চোখে লুকানো হাজারো ভালোবাসা, যা কখনো মিথ্যা হয় না।
🟣 Family love, expatriate life and the secret torture of a wife
🔷 A simple beginning of love
I am Rafiq. I am an ordinary boy from a small village in West Bengal. Our family was a very close-knit family. My parents, two sisters and I—there was no shortage of love in this family of five. My mother would wake up early in the morning after praying and make tiffin for me, my father would go out for work, and in the evening we would all sit in our yard and talk.
However, time changes people like everything else. I realized as soon as I got to college that if I wanted to really help my family, I would have to go out and do something. So I tried hard to find a job in a Middle Eastern country. When I went abroad for the first time, my mother cried, and my father hid his tears—I understood. YOUTUB LOVE STORY VIDEO
Life abroad was very difficult at first. I didn't understand the language, I couldn't adapt to the food, and even the work environment was difficult. But to bring smiles to my family's faces, it was my duty to endure everything. I sent my first salary to buy a saree for my mother. A good watch for my father. Chocolates and small gifts for my sisters. That day, my mother said on the phone, “I want you to be healthy, that’s all, I don’t want anything more.”
🔷 Marriage and the turning point in life YOUTUB LOVE STORY VIDEO
After four years of living abroad, my parents found me a bride. Rupa, a humble, homely girl from the village—plain in appearance, but very polite in behavior. My mother said, “This girl will understand the world.” I agreed, and we got married on vacation.
After marriage, I thought about bringing Rupa abroad. However, some paperwork and sponsorship complications took time. Even when I was with my parents, my wife would sometimes cry on the phone. She would say, “Your mother makes me work, she doesn’t say nice things.” At first, I thought she was having trouble adjusting. My parents are old, and if I said something when I got angry, I would ask her to forgive me.
But gradually, Rupa wanted to be alone, and her distance from my family continued to grow. She would say on the phone, “Your mother thinks I’m wrong, I’m mentally disturbed.” I believed my wife, and I also cried for my parents. Standing on both sides, I felt like I was falling under pressure.
🔷 Shadow of Secret Torture
Suddenly one day my younger sister called me and said, “Grandpa, I swear at my mother, but she seems sweet in front of you.” I couldn’t believe it. But then my mother cried silently on the phone, and without saying anything, she seemed to tell me a lot.
I talked to my wife, and she said, it’s all a lie. It’s a conspiracy between my mother and sister. Again, my mother and sister said, it’s as if she has taken on a different form. I got into some kind of conflict. But one day my younger sister sent me a video on WhatsApp, where Rupa is scolding and insulting my mother. BINANCE ACCOUNT OPPEN LINK
That night I couldn’t sleep. My heart was broken. The girl I didn’t trust my family for is the one who is hurting my mother like this! I took leave from the office and returned home. That first time, Rupa fell in front of me, scared, with her face down.
I hugged my mother and cried. I said, “Mom, why didn’t you say anything?” My mother said while crying, “You used to listen to her, that’s why I kept quiet.” Then I understood that if there is no understanding with love, then it turns into bitterness.
🔷 Consequences and a new decision
I decided—this world is no more. I sat down and talked to Rupa. She understood her mistake, but I didn’t want to go back then. My mother’s tears, my father’s silence, and my sister’s cries—all these things were embedded in my heart like thorns.
I filed for divorce. Society said a lot, but I know that my mother’s honor comes first. Rupa returned to her father’s house. I went abroad again, but this time I brought my parents together. I rented a separate house for them, where they could live independently. BINANCE ACCOUNT OPPEN LINK
While living abroad, I now take out time to cook for my mother, buy my father's medicine. We all go for a walk together once a week. Maybe the family broke up, but I found my family close again.
Now I run a YouTube channel, where I tell stories of my expatriate life, and vlog with my parents. Many people say, "Brother, you bring tears to our eyes." At that time, I feel that my suffering was not meaningless.
🔵 Conclusion
Love is true only when it is expressed through self-sacrifice. Even if there is money in expatriate life, the empty space in the heart is often filled by family. Conflicts with your wife, family neglect, and secret oppression—those who cling to the truth in spite of everything are the real winners.
If you are an expatriate, and the distance between you and your family is increasing—then at least look into your mother's eyes once. Thousands of love hidden in those eyes, which never lies.
No comments:
Post a Comment
আপনার মতামত আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ! দয়া করে আপনার ফিডব্যাক শেয়ার করুন।